প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করার অনেক পদ্ধতি রয়েছে। তার মধ্যে অনলাইনে ইনকাম করার পদ্ধতিটি একটি সেরা পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
তাই, এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করেছি আপনার সাথে কিছু ট্রিক্স শেয়ার করার জন্য যেগুলো ব্যবহার করে আপনি প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: টাকা ইনকাম করার অ্যাপস ২০২৩
অনলাইনে ইনকাম করার অগণিত পন্থা রয়েছে।
যা এই ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে কিছু সেরা পদ্ধতি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে যেখান থেকে আপনারা প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করতে পারেন।
ঘরে বসেই যদি আপনি অনেক বেশি ইনকাম করতে পারেন তাহলে বাহিরে যাওয়ার প্রয়োজন কি?
অবশ্যই চেষ্টা করবেন স্মার্ট উপায়ে টাকা ইনকাম করার।
এবং আপনি যেভাবেই ইনকাম করুননা কেন তা বৈধ এবং হালাল হতে হবে। এভাবেই আপনারা সঠিক উপায়ে টাকা আয় করতে পারেন।
টাকা আয় করা বর্তমানে তেমন কোনো কঠিন কাজ নয়।
প্রয়োজন একটি সঠিক গাইডলাইন এবং পযার্প্ত সুযোগ-সুবিধা। তাহলেই অনলাইনের মাধ্যমে একটি ভালো পরিমাণের আয় করা সম্ভব।
নিচে আপনাদের সাথে চাইলেই ১০০০ টি মেথড শেয়ার করতে পারি তবে আমরা সেরা ১৫ টি অনলাইনে ১০০০ টাকা ইনকামের পদ্ধতি শেয়ার করলাম।
১. ডিজিটাল মার্কেটিং করে ইনকাম
আজকের যুগ ডিজিটাল যুগ।
ডিজিটাল যুগে মানুষ ইতিমধ্যেই ডিজিটালাইজড।
পণ্য এখন বাড়িতে বসে কেনা যায়।
তাহলে কেন আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারবেন না এবং অনলাইনে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন না?
হ্যাঁ, ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে অনলাইনে অর্থ উপার্জন করা খুবই সহজ।
তার আগে জানতে হবে ডিজিটাল মার্কেটিং কি?
এক কথায় বলা যায় যে, ডিজিটালভাবে করা কাজ হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। মানুষ এটিকে অনেক কঠিনভাবে বর্ণনা করে থাকে।
তবে, এটি কঠিন এবং সময়সাপেক্ষ নয়।
এখন, অনলাইনে, আপনি সহজেই আপনার পণ্য আরও বেশি সংখ্যক মানুষের সামনে দেখাতে পারে।
তাই আমি বলতে পারি ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে অল্প সময়ের মধ্যে বেশি বেশি করে ডিজিটাল প্রচারের কাজ।
ডিজিটাল মার্কেটিং করে ইনকাম করার জন্য নিম্নলিখিত কিছু উপায়ে অনুসরণ করা যেতে পারে:
ওয়েবসাইট তৈরি
আপনি নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন বা এটি কোন ওয়েব ডেভেলপারের মাধ্যমে তৈরি করে নিতে পারেন। ওয়েবসাইটে আপনার প্রোডাক্ট বা সেবা সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে তা বিক্রি করতে পারে।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রোমোশন করতে পারেন, যেমনঃ Facebook, Instagram, Twitter, LinkedIn ইত্যাদি। এই প্ল্যাটফর্মে আপনি আপনার প্রোডাক্ট বা সেবা সম্পর্কে পোস্ট করবেন এবং সেগুলো বেশি মানুষের কাছে পৌছানোর জন্য মার্কেটিং করবেন।
ইমেইল মার্কেটিং
আপনি আপনার কাস্টমারদের ইমেইলে নিউজলেটার, অফার, এবং আপডেট প্রেরণ করে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারেন।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)
ওয়েবসাইট সম্পর্কে সার্চ ইঞ্জিনে উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করতে পারেন। এটি আপনার ওয়েবসাইটকে আরও জনপ্রিয় করতে সাহায্য করবে।
পেই-পার ক্লিক (PPC) বিজ্ঞাপন
সার্চ ইঞ্জিনে বিজ্ঞাপন দিয়ে আপনি আপনার প্রোডাক্ট বা সেবা সরাসরি বিক্রি করতে পারেন।
অনলাইন ব্যবসায় স্থাপন
আপনি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে আপনার প্রোডাক্ট বা সেবা বিক্রি করতে পারেন, যেমনঃ ই-কমার্স ওয়েবসাইট বা অ্যাপ।
অনলাইন স্বাধীন ব্যবসা
আপনি ব্লগিং, পোডকাস্টিং, ভিডিও মার্কেটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, এবং আরও অনেক উপায়ে অনলাইন স্বাধীনভাবে ব্যবসা করতে পারেন।
ডেটা অ্যানালিটিক্স
আপনি আপনার মার্কেটিং এর কার্যকারিতা মূল্যায়ন করতে ডেটা অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করতে পারেন এবং আপনার ক্যাম্পেইনগুলি গুলি উন্নত করতে পারেন।
২. অনলাইনে কোর্স বিক্রি করে ইনকাম
নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করে আপনি অনলাইনে কোর্স বিক্রি করতে পারেন।
প্রথমে আপনার টপিক নির্ধারণ করুন
কিভাবে অনলাইনে কোর্স তৈরি করবেন?
৩. ফেসবুকে অনলাইন শপ দেওয়ার মাধ্যমে ইনকাম
আপনি চাইলে ফেসবুকে অনলাইন শপ দেওয়ার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন এবং সফল একটি ব্যবসায় স্থাপন করতে পারেন। ফেসবুকে অনলাইন শপ চালু করার জন্য কিছু পরামর্শ:
পণ্য বা সেবা নির্ধারণ করুন
যেভাবে অনলাইন শপ তৈরি করবেন
আপনি ফেসবুক শপের মাধ্যমে আপনার পণ্য বা সেবা বিক্রি করতে পারেন। আপনি ফেসবুকে একটি পেজের মাধ্যমে কাজটি করবেন। এবং তাতে আপনার পণ্যের ছবি, বর্ণনা, মূল্য, আপনার যোগাযোগের তথ্য সহ সকল তথ্য সাজানো গোছানো রাখবেন। যাতে তা ক্রেতাকে আকৃষ্ট করে।
অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে সেট আপ
প্রচার এবং মার্কেটিং
কাস্টমার সার্ভিস প্রদান
পর্যালোচনা
আপনি আপনার শপ এবং পণ্যের গুনগত পর্যালোচনা এবং গ্রাহককে সঠিক সেবা প্রদান করতে হবে।
আপনি আপনার গ্রাহকের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবেন।
যেটি আপনার ব্যবসায়কে বড় করতে সাহায্য করবে এবং আপনার ক্রেতাদের মনে একটি জায়গা সৃষ্টি করতে সাহায্য করবে।
এই উপায়ে, আপনি ফেসবুক শপের মাধ্যমে একটি সফল অনলাইন ব্যবসা চালাতে পারবেন এবং প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
৪. ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম
এটি বেশিরভাগ মানুষের জন্য উপযুক্ত যেহেতু এটি যেকোনো স্থানে থেকে এবং যেকোনো সময়ে করা যায়।
আপনি Fiverr, Upwork, Freelance.com ইত্যাদি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মে কাজ করার মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম শুরু করতে পারেন।
তবে, ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য্য ধরতে হবে এবং কাজ করে যেতে হবে।
তাহলেই আপনি সফল হতে পারবেন।
মনে রাখবেন, ফ্রিল্যান্সার হতে হলে কখনোই হাল ছাড়া যাবে না।
ফ্রিল্যান্সিং করে অনেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। নিচের টিপস গুলো ফলো করে আপনি আপনার ফ্রিল্যান্সিং জার্নিটি শুরু করতে পারেন।
নিজের জন্য উপযুক্ত ক্যারিয়ার নির্ধারণ করুন
প্রথম ধাপ হলো, আপনি নিজের জন্য উপযুক্ত একটি ক্যারিয়ার নির্ধারণ করবেন যেখানে আপনি প্রাথমিকভাবে স্কিল এবং আগ্রহ নিয়ে কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন। যেমন: ডিজিটাল মার্কেটিং, ফেসবুক মার্কেটিং ইত্যাদি।
একটি নির্দিষ্ট স্কিলে নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলুন
আপনি একটি নির্দিষ্ট ক্যাটাগরি বা নিচের যেকোনো স্কিল আয়ত্ত্ব করতে পারেন - উদাহরণস্বরূপ, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, স্ক্রিপ্ট লেখা, ট্রান্সলেশন, ইত্যাদি। এইভাবে আপনি স্বচ্ছতা বজায় রেখে কাজ করতে পারবেন।
কমিউনিকেশন স্কিল ডেভলপমেন্ট
আপনি আপনার ক্লায়েন্টের সাথে সঠিক উপায়ে যোগাযোগ রাখবেন এবং সময় মতো কাজ ডেলিভারি দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে কমিউনিকেশন স্কিলকে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে রাখতে হবে।
৫. ইউটিউবে ভিডিও বানিয়ে ইনকাম
ইউটিউবে কাজ করে অনেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে এবং চাইলে আপনিও কাজটি করে প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করতে পারেন।
ইউটিউবে ভিডিও বানানো এবং ইনকাম করার জন্য নিম্নলিখিত উপায়গুলি অনুসরণ করতে পারেন:
ইউটিউব চ্যানেল তৈরি
প্রথমে ইউটিউবে নিজের চ্যানেল তৈরি করতে হবে। এটি খুবই সহজে এবং বিনামূল্যে করা যায়।
একটি লাভজনক নিশ নির্বাচন
আপনি আপনার চ্যানেলে কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে ভিডিও তৈরি করতে চান, সেটি নির্ধারণ করুন। একটি নিশ নিয়ে কাজ করলে ইউটিউবে আপনি তাড়াতাড়ি সফল হতে পারবেন।
পরিকল্পনা করে ভিডিওি বানান
ভিডিও বানানোর আগে ভালোভাবে পরিকল্পনা করুন এবং ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তা শিখে ফেলুন।
ভিডিও তৈরি
এই ধাপে, আপনি আপনার নির্বাচিত নির্দিষ্ট বিষয়ে ভিডিও তৈরি করবেন। ভিডিও তৈরি এবং এডিট করার জন্য আপনি একটি ক্যামেরা বা স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারেন।
অধিকাংশ দর্শকের কাছে ভিডিও পৌছে দিন
আপনার ভিডিও দর্শকদের সামনে উপস্থিত করতে আপনার ভিডিওগুলি এসইও করতে হবে এবং বিভিন্ন সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করতে হবে।
৬. ব্লগিং করে ইনকাম
ব্লগিং একটি মুক্ত পেশা। যার মাধ্যমেই অনেকেই সফলতা অর্জন করেছে।
ব্লগিং আপনি কম খরচেই শুরু করতে পারবেন এবং এখানে তেমন কোনো বিনিয়োগের প্রয়োজন পরে না।
এই পেশাটি হতে পারে একটি সেরা পেশা যার মাধ্যমে আপনি দৈনিক ১০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ব্লগিং করে ইনকাম করার জন্য আপনি নিম্নোক্ত পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করতে পারেন:
একটি ব্লগ তৈরি করুন
প্রথমে, একটি ব্লগ তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি আপনাকে এটি নির্ধারণ করতে হবে যে আপনি কোন বিষয়ে লেখালেখি শুরু করতে চান।
উচ্চ গুণমানের কন্টেন্ট লেখুন
আপনার ব্লগে মানসম্মত এবং আকর্ষণীয় কন্টেন্ট লেখার চেষ্টা করুন। এর মাধ্যমে আপনি অধিক সংখ্যক ভিউ পাবেন। এবং যত বেশি ভিউ হবে আপনি তত বেশি ইনকাম করতে পারবেন।
সময় মেইনটেইন করুন
নিয়মিতভাবে পোস্ট করুন এবং আপনার ব্লগে প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় দিন।
চেষ্টা করুন ব্লগের গুনগত মান প্রতিদিন একটু একটু করে উন্নত করার।
SEO অপটিমাইজেশন
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) এর মাধ্যমে আপনার কন্টেন্ট সার্চ ইঞ্জিনে প্রথম পেজে রাখার চেষ্টা করুন। এটি আপনার ব্লগে পাঠকদের আনতে সাহায্য করবে।
ব্লগ মনিটাইজেশন করুন
আপনি যদি আপনার ব্লগে বিজ্ঞাপন দেখাতে চান, তাহলে Google AdSense বা অন্যান্য বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারেন।
আপনার ব্লগে পেইড সাবস্ক্রিপশন অফার দিন
যদি আপনি আপনার পাঠকদের আপনার নির্দিষ্ট কন্টেন্টের জন্য একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন অফার করতে পারেন, তাহলে এর মাধ্যমে আপনি একেটি ভালো পরিমাণের অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং
অন্যের প্রোডাক্ট এবং সেবা প্রমোট করার মাধ্যমে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। এর মাধ্যমেও ভালো আয় করা যায়।
প্রোডাক্ট বা সেবা বিক্রি করুন
আপনি আপনার ব্লগে নিজের প্রোডাক্ট বিক্রি বা সেবা প্রদান করতে পারেন এবং বিজাপনের মাধ্যমে তা প্রমোট করতে পারেন।
স্পন্সরশিপ
আপনি আপনার ব্লগে কোনো প্রতিষ্ঠানের বা প্রোডাক্টের স্পন্সরশিপ নিতে পারেন, যা আপনাকে টাকা উপার্জন করতে সাহায্য করবে।
৭. অনলাইনে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং করে ইনকাম
ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে কাজ করা
অনলাইন মার্কেটপ্লেসে প্রমোট করা
অনলাইন কোর্স সেলিং
গ্রাফিক্স ডিজাইনিং ব্লগ শুরু করা
অনলাইন গ্রাফিক্স ডিজাইনিং কোর্স ইনস্ট্রাক্টর হওয়া
গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়্যার বিক্রয়
অনলাইন কনসাল্টিং সেবা দেওয়া
৮. ওয়েব ডিজাইনিং করে ইনকাম
ওয়েব ডিজাইনিং এর মাধ্যমে আপনি গ্রাফিক্স বেশি বা কম ইনকাম করতে পারবেন।
তবে, যেটাই করেন না কেনো মন দিয়ে করতে হবে। তবেই, সফলতা পাওয়ার আশা করতে পারেন।
আপনি নিচে দেওয়া পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করে ওয়েব ডিজাইনিং করে আপনি ইনকাম করতে পারবেন:
ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম
ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম যেমন Upwork, Freelancer, Fiverr, ইত্যাদির সাথে যোগ দিন এবং ওয়েব ডিজাইন সেবা প্রদান করা শুরু করুন। এই প্ল্যাটফর্মে আপনি আপনার প্রোফাইল তৈরি করতে পারেন এবং তা আকর্ষণীয় রূপে সাজাতে পারেন।
এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে আপনি ক্লায়েন্টদের ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট সেবা প্রদান করে ইনকাম করতে পারবেন।
ওয়েব হোস্টিং এবং ডোমেইন সার্ভিস
আপনি ওয়েব হোস্টিং এবং ডোমেইন সার্ভিস প্রদান করেও ইনকাম করতে পারবেন। আপনি হোস্টিং প্ল্যান এবং ডোমেইন রেজিস্ট্রেশনের জন্য ক্লায়েন্টদের সাথে চুক্তি সই করতে পারেন এবং এখান থেকে মাসিক বা বার্ষিক ইনকাম শুরু করতে পারেন।
ওয়েবসাইট বিপণন
আপনি ওয়েবসাইট টেমপ্লেট বা ওয়েবসাইটের কাস্টমাইজেশনের ব্যবসা করতে পারেন। আপনি প্রয়োজন অনুযায়ী ওয়েবসাইট তৈরি করে প্রদান করবেন এবং সাথে ডোমেইন ও হোস্টিং সেবা সরবরাহ করবেন।
শেখানো
আপনি ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট শেখানোর জন্য অনলাইন কোর্স তৈরি করতে পারেন এবং এই কোর্সগুলি বিক্রি করে ইনকাম করতে পারেন। আপনি এই কোর্সগুলির বিক্রি করে মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি অথবা একক মূল্যে ইনকাম করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্স প্রোজেক্ট
আপনি নিজের ফ্রিল্যান্সিং প্রজেক্ট প্রদান করতে পারেন এবং ক্লায়েন্টদের নির্দিষ্ট ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্টের প্রয়োজনীয়তা মিটিয়ে আয় করতে পারেন।
ওয়েব ডিজাইনিং ক্যারিয়ারে সাফল্যের পথে একটি শক্তিশালী পোর্টফোলিও এবং স্কিল সেট গুরুত্বপূর্ণ। আপনি আপনার ক্যারিয়ার গঠনের আগে যথেষ্ট জ্ঞান এবং দক্ষতা অর্জন করার পর সার্ভিস প্রদান করা শুরু করতে পারেন।
৯. অনলাইনে ছোট ছোট কাজ করে ইনকাম
ফ্রিল্যান্সিং
অনলাইন শিক্ষাদান
অনলাইন সার্ভে বা টিউটরিং
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
ব্লগ বা ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম
ওয়েবসাইট টেস্টিং
আপনি যে কোন কাজ করে অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন, এবং চেষ্টা করতে থাকলে আপনি অনেক বেশিও ইনকাম করতে পারেন।
১০. ভিডিও এডিটিং করে ইনকাম
ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মগুলি এ যোগ দিন
ইউটিউব চ্যানেল সাজান
স্বতন্ত্র ভিডিও এডিটিং কোর্স
ভ্রমণের ভিডিও এডিটিং
১১. ছাত্র পড়িয়ে ইনকাম
ছাত্র পড়িয়ে অনেক ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করা যায়। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে কৌশলী হতে হবে।
ছাত্র পড়িয়ে ইনকাম করতে আপনি নিম্নলিখিত উপায়গুলি অনুসরণ করতে পারেন:
টিউটরিং সেবা
যদি আপনার কোন বিষয়ে দক্ষতা থাকে এবং আপনি অন্যদেরকে সেই বিষয়ে পড়াতে পারেন, তাহলে টিউটরিং সেবা দেওয়া একটি ভাল মাধ্যম হতে পারে আপনার জন্য। আপনি মাধ্যমিক বা উচ্চ শিক্ষা স্তরের ছাত্রদের জন্য টিউটরিং করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং
আপনি চাইলে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে ছাত্র পড়িয়ে বা টিউটরিং করে দৈনিক ১০০০ টাকা ইনকাম করতে পারেন।
অনলাইন মার্কেটিং
আপনি অনলাইনে প্রোডাক্ট বা সেবা বিপণি করতে পারেন, সেটি একটি ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপন দেওয়া একটি অপশন হতে পারে।
ইনফরমেশন প্রডাক্ট তৈরি
আপনি নিজের জ্ঞান বা দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আপনার পছন্দের বিষয়ে একটি ইনফরমেশন প্রডাক্ট তৈরি করতে পারেন, যেমন ইবুক, অনলাইন কোর্স, অডিও বই, ব্লগ পোস্ট, বা পোডকাস্ট এবং সেটি বিক্রয় করে আয় করতে পারেন।
আশা করি এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণের মাধ্যমে আপনি টিউটরিং করে বা ছাত্র পরিয়ে একটি ভালো মানের অর্থ করতে পারবেন।
১২. অন্যের পণ্য বিক্রি করে ইনকাম
দোকান বা শপ
ই-কমার্স প্লাটফর্ম
মোবাইল মার্কেটিং
এফিলিয়েট মার্কেটিং
বিপণিত পণ্য বিক্রি
১৩. রেফারের মাধ্যমে ইনকাম
আপনি চাইলে সহজেই রেফারের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে, একটি প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা প্রচার করে বা সাইটে লিঙ্ক শেয়ার করে অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের ওয়েবসাইটে এধরনের ইনকাম পদ্ধতি শেয়ার করে থাকে।
একটি রেফার করে আয়ের সুযোগ দেয় এমন প্রতিষ্ঠানে যোগ দিন
আপনার অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক প্রচার করুন
১৪. বিভিন্ন সার্ভিস দিয়ে ইনকাম
ইনকাম করার জন্য সার্ভিস প্রদানের একাধিক উপায় আছে।
আপনি চাইলে নিম্নোক্ত যেকোনো একটি পদ্ধতি অনুসরণ করে অনলাইনে বিভিন্ন সার্ভিস দিয়ে ইনকাম করতে পারেন।
ব্লগ/ওয়েবসাইট লেখা
আপনি বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, খেলা, খাবার, ট্রাভেল, ব্যবসা, ইউটিউব চ্যানেল ইত্যাদি বিষয়ে ব্লগ লেখতে পারেন এবং মুনাফা আয় করতে পারেন।
ক্রিয়েটিভ শিল্প বা হাস্যকর সার্ভিস
১৫. ফেসবুক পেজের মাধ্যমে ইনকাম
স্পন্সরশিপ এবং পেজ পোস্ট প্রমোট
আফিলিয়েট মার্কেটিং
স্পন্সর কন্টেন্ট
স্পন্সরশিপ করতে অন্যকে আপনার পেজে কন্টেন্ট পোস্ট করতে বলতে পারেন এবং তার কাছে একটি নির্দিষ্ট অর্থ নিতে পারেন। যেটা সে দিতে পছন্দ করবে।
এছাড়াও, ফেসবুক পেজ থেকে আয় করার কিছু পদ্ধতি রয়েছে। যা পরবর্তী পোস্টে আলোচনা করা হবে।
শেষ কথা
উপরে যে ১৫ টি উপায় বর্ণনা করলাম এগুলোর যেকোনো একটি করার মাধ্যমে আপনি প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
তবে, মনে রাখবেন যাই করুন না কেনো আপনাকে ধৈর্য্যধারণ করতে হবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করে যেতে হবে। ধন্যবাদ।
0 মন্তব্যসমূহ